যদি জিজ্ঞেস করেন, গুনাহ ছেড়ে দেয়া এবং নেক আমল বাড়ানোর সহজ পদ্ধতি কী?

.

তাহলে বলব, জান্নাত জাহান্নাম নিয়ে বেশি বেশি পড়ুন, ভাবুন। কারণ, জান্নাত অতুল নিয়ামতের আধার, যেখানে নেই কোনো কষ্ট-ক্লেশ বা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। একজন মানুষ যখন জান্নাতের অতুল নিয়ামত ও সুখ-শান্তির কথা জানে, তা লাভের আশায় দুনিয়াতে নেক আমলে মশগুল থাকার প্রতি অন্তরে বেশ আগ্রহ জাগে। অন্যদিকে জাহান্নাম ভীষণ শাস্তি ও ভয়ংকর এক স্থান, যেখানে আরামের লেশমাত্রও নেই। তাতে রয়েছে কেবলই আক্ষেপ-আর্তনাদ আর অসহনীয় কষ্ট-যন্ত্রণা। জাহান্নামের ভীষণ শাস্তির কথা জানা থাকলে গুনাহের পথে কদম বাড়াতে অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয়।

.

কুরআন হাদীসে জান্নাত জাহান্নামের অনেক আলোচনা এসেছে। সেই আলোচনাগুলো ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে ড. উমার সুলায়মান আল আশকার লিখেছেন ‘জান্নাত-জাহান্নাম’ নামক চমৎকার একটি গ্রন্থ। জান্নাত-জাহান্নাম কী, কী আছে এতে, জান্নাত-জাহান্নামের স্তর কয়টা, এর স্তরের মধ্যে পার্থক্য কী, মোটকথা বিস্তারিত আলোচনা এসেছে এই বইতে। আখিরাতের সর্বশেষ এ দুটি ঠিকানা—জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান ও উপলব্ধি যত স্বচ্ছ হবে, ততই আমরা দুনিয়ার ধোঁকা ও প্রবঞ্চনা থেকে সতর্ক হয়ে আসল গন্তব্যে পৌঁছার পাথেয় লাভে মনোযোগী হতে পারব।